Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

সেবার তালিকা

জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতা

 

বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর কার্যক্রমের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতা। ১৯৭৮ সাল থেকে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ক্রীড়ায় ৬২টি বিষয়ে দুটি গ্রুপে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা পর্যায়ে ১ম স্থান অধিকারী শিশুরা জেলা পর্যায় ও অঞ্চল পর্যায় পার হয়ে জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করে থাকে। এই প্রতিযোগিতায় প্রতিবছর সারা দেশে প্রায় ৩ লক্ষ শিশু অংশগ্রহণ করে তাদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ লাভ করে থাকে। এ প্রতিযোগিতার লক্ষ্য হলো তৃণমূল পর্যায় থেকে শিশুদের সুপ্ত প্রতিভা ও মেধার অন্বেষণ করা।

 

শিশুদের মৌসুমি প্রতিযোগিতা

 

শিশুদের মৌসুমি প্রতিযোগিতা বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর দ্বিতীয় বৃহত্তম সাহিত্য-সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা। বর্ষা মেৌসুমে শিশুদের কর্মব্যস্ত রাখার উদ্দেশ্যে এবং শিশুদের মধ্যে দলগত সমঝোতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই প্রতিযোগিতার প্রবর্তন করা হয়। জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতার ন্যায় এই প্রতিযোগিতাও উপজেলা পর্যায় থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন পর্যায় পার হয়ে ঢাকায় চুড়ান্ত পর্যায়ে জাতীয় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রতিযোগিতার বিষয় ৪টি - উপস্থিত বিতর্ক, সমবেত দেশাত্মবোধক জারীগান, জ্ঞান জিজ্ঞাসা এবং সমবেত আঞ্চলিক নৃত্য। ১৯৭৮ সাল থেকে আজ অবধি এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

 

শিশু আনন্দমেলা

শিশু আনন্দমেলা শিশু একাডেমীর আর একটি গুরুত্বপূর্ণ ও আকর্ষণীয় অনুষ্ঠান। শিশুদের তৈরী বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ও হস্তশিল্প এই মেলায় প্রদর্শিত হয়। মেলায় বিভিন্ন শিশু সংগঠনের উদ্যোগে স্টল খোলা হয়। এই মেলা শিশুদের স্বাবলম্বী এবং কর্মের প্রতি আগ্রহী হবার প্রেরণা যোগায়। কয়েকদিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এই মেলায় সংগঠনের শিশুরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে থাকে।

 

শিশুনাট্য প্রতিযোগিতা

শিশুনাট্য প্রতিযোগিতা ও উৎসব শিশু একাডেমীর অন্যতম আকর্ষণীয় কর্মসূচি। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে শিশু নাট্য-সংস্কৃতি গড়ে তোলা, শিশু নাটকের প্রতি শিশু এবং সাধারণ মানুষের আগ্রহ সৃষ্টি করা, শিশু নাটকের ভিতকে শক্তিশালী বুনিয়াদের উপর সুপ্রতিষ্ঠিত করা, শিশু নাটকের মাধ্যমে শিশু অধিকারের কথাগুলো জনসমক্ষে তুলে ধরা এবং সর্বোপরি, নাটকের সুস্থ ও মুক্ত ধারাকে বেগবান করা।

 

বিভিন্ন দিবস উদযাপন

 

বাংলাদেশ শিশু একাডেমী সরকার কর্তৃক ঘোষিত বিভিন্ন জাতীয় দিবস যেমন- শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, বাংলা নববর্ষ, ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী, ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান, বিশ্ব শিশু দিবস, শিশু অধিকার সপ্তাহ, কন্যাশিশু দিবস, মীনা দিবস, জাতীয় শিশুদিবস, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস, মহান বিজয় দিবস, রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী প্রভৃতি উদযাপন করে থাকে। এছাড়া স্থানীয় মনীষী ও স্মরণীয় ব্যক্তিদের জন্ম ও মৃত্যুদিবস উদযাপন করে থাকে।

 

সাংস্কৃতিক প্রশিক্ষণ

 

শিশু একাডেমী শিশুদের চিত্রাঙ্কন, সঙ্গীত, নৃত্য, নাট্যকলা, আবৃত্তি, উচ্চারণ সরব পাঠ, তবলা, গিটার প্রভৃতি প্রয়োগশিল্পের কোর্সভিত্তিক প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। দরিদ্র শিশুদের বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। এছাড়া একাডেমীতে প্রতিবন্ধী শিশুদের সাংস্কৃতিক প্রশিক্ষণ দানের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। দু বছর মেয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স পরিচালনা করা হয়। বর্তমানে এ জেলা শাখায় চিত্রাংকন, সংগীত, নৃত্য  ও আবৃত্তি-এ চারটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থী প্রাপ্তি সাপেক্ষে আগামীতে অন্যান্য বিষয়ে প্রশিক্ষণ কোর্স খোলার পরিকল্পনা রয়েছে। ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি মাসের মধ্যে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। পরিস্থিতি বিবেচনা করে বছরের সকল সময়ে ভর্তি নেয়া যেতে পারে।

 

শিশুদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ

 

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ভিশন ২০২১ বাস্তবায়ন এবং একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর আধুনিক প্রজন্ম গড়ে তোলার মাধ্যমে শিশুদের মানসিক তথা সুপ্ত প্রতিভা বিকাশ সাধনের লক্ষে বাংলাদেশ শিশু একাডেমী ০৮-১৪ বছর বয়সী ‘শিশুদের জন্য তিন মাস মেয়াদি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কর্মসূচি’ কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। ভর্তি সবসময় সকলের জন্য উন্মুক্ত। অস্বচ্ছল পরিবারের শিশুদের জন্য বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

 

প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা

 

দেশের ৪-৫ বছরের দুস্থ শিশুদের বিদ্যালয়ে পড়ার উপযোগী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশ শিশু একাডেমী প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষাদান কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এই কর্মসুচি দেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। বর্তমানে এ জেলা শাখার অধীনে মোট চারটি কেন্দ্রে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাদান কর্মসূচি চালু রয়েছে।

 

শিশু গ্রন্থাগার

 

বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর কেন্দ্রীয় অফিসসহ সকল শাখায় শিশু গ্রন্থাগার রযেছে। এতে শিশুদের উপযোগী দেশী ও বিদেশী বই রয়েছে। গ্রন্থাগারে এসে শিশুরা বই পড়তে পারে এবং শিশু সদস্যরা বাড়িতে বই নিয়ে যেতে পারে। প্রতিবছর এইসব গ্রন্থাগারে নতুন নতুন বই ক্রয় করা হয়ে থাকে। সকলসময় শিশু গ্রন্থাগারের সদস্য হওয়া যায়।

 

লাইব্রেরিভিত্তিক অনুষ্ঠান

 

শিশুদের মধ্যে পাঠাভ্যাস বৃদ্ধি ও গ্রন্থাগারের প্রতি আগ্রহী করে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে বই পাঠসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়ে থাকে এবং শ্রেষ্ঠ শিশুদের পুরস্কার প্রদান করা হয়ে থাকে।

 

শিশু জাদুঘর 

দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে শিশুদের সচেতন করা ও জ্ঞানদানের উদ্দেশ্যে শিশু জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা হয়। ঢাকার কেন্দ্রীয় অফিসের শিশু জাদুঘরে ৭২টি শো-কেসে ত্রিমাত্রিক শিল্পকর্মের মাধ্যমে প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় পর্যন্ত বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাস শিশু-কিশোরদের উপযোগী করে ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। জাদুঘরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী শহীদ শিশু-কিশোরদের ছবি, জীবন-বৃত্তান্ত, তাদের ব্যবহৃত দ্রব্যাদি সংরক্ষণ করা হয়েছে। এছাড়া জাদুঘরের দোতলায় বিভিন্ন দূতাবাস কর্তৃক প্রদত্ত তাদের দেশের তথ্যবহুল পরিচিতি দিয়ে শো-কেস সাজানো হয়েছে। এর ফলে শিশুরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান লাভ করতে সক্ষম হয। এ জেলা শাখাতে স্বল্প পরিসরে একটি জাদুঘর রয়েছে।

 

শিশু অধিকার সপ্তাহ, বিশ্ব শিশু দিবস ও কন্যাশিশু দিবস

বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় শতকরা পঞ্চাশ ভাগই শিশু। শিশুরা মানবসম্পদের মূল ভিত্তিভূমি এবং অযুত-অমিত সম্ভাবনাময়। শিশুরা দেশের শ্রেষ্ঠ সম্পদ। এই শিশুদের সম্ভাবনার বিকাশে যদি পরিপূর্ণভাবে সাহায্য করা যায় এবং তাঁদের সুষ্ঠুভাবে প্রতিপালন করা হয় তাহলে এদেশের ভাগ্য খুব কম সময়ের মধ্যে বদলে যেতে পারে। পৃথিবীর সর্বাধিক রাষ্ট্র কর্তৃক জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ ১৯৯০ সালে অনুমোদিত হয়। শিশু অধিকার তুলনামূলকভাবে একটি নতুন চিন্তাধারা। সকল শিশু যাতে পরিপূর্ণ বিশ্বাস ও মর্যাদা নিয়ে বাঁচতে পারে এবং উপযুক্ত যত্ন ও নিরাপত্তা লাভ করতে পারে তা সুনিশ্চিত করার জন্য ব্যক্তি, রাষ্ট্র, সামাজিক গোষ্ঠী ও সংগঠন সকলেরই দায়-দায়িত্ব রয়েছে। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, ভাষা, ছেলে-মেয়ে এবং সামাজিক মর্যাদা নির্বিশেষে সকল শিশুর অধিকার সমান। জাতীয়ভাবে প্রতিবছর ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরের প্রথম সোমবার পর্যন্ত শিশু অধিকার সপ্তাহ ও অক্টোবরের প্রথম সোমবার বিশ্ব শিশু দিবস উদযাপন করা হয়।

 

অপরপক্ষে, দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক অংশ যেমন শিশু আবার এর অর্ধেক অংশ কন্যাশিশু। বৈজ্ঞানিকভাবে  ছেলেমেয়ে উভয়ই সমান মেধা সম্পন্ন হওয়া সত্ত্বেও সামাজিক এবং পারিবারিকভাবে মেয়েরা জেন্ডার বৈষম্যের শিকার। মেয়েশিশু এবং ছেলেশিশু উভয়েই সমান; সম অধিকার এবং মর্যাদার অধিকারী। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হলেও সত্য যে, সমাজে ও পরিবারে মেয়েশিশুরা ‘মানবিক ও বস্ত্তগত’ বৈষম্য ও বঞ্চনার শিকার’। বিদ্যমান বৈষম্য-বঞ্চনা লাঘব, মেয়েশিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা, সনাতনী দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন এবং কন্যাশিশুদের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার  প্রত্যয়ে দিবসটির তাৎপর্য নিহিত। জাতীয়ভাবে ২০০০ খ্রি. থেকে কন্যাশিশু দিবস পালিত হচ্ছে।

 

প্রথম বিশ্বযুদ্ধে বহু শিশু অনাথ ও আশ্রয়হীন হয়। এসব পরিত্যক্ত শিশুকে রক্ষার উদ্দেশ্যে ১৯২৪ সালে লীগ অব নেশন্স -এর জেনেভা কনভেনশনে ঘোষণা করা হয়, ‘মানব জাতির সর্বোত্তম যা-কিছু দেওয়ার আছে শিশুরাই তা পাওয়ার যোগ্য। ১৯৪৮ খ্রি. ১০ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে গৃহীত ‘মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্রে’ শিশু অধিকার ও নিরাপত্তার উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। আর্ন্তজাতিক শিশুকল্যাণ ইউনিয়ন ও ইউনিসেফ -এর উদ্যোগে ১৯৫৩ খ্রি. ৫ অক্টোবর প্রথম বিশ্ব শিশু দিবস উদযাপিত হয়। সে বছর বিশ্বের ৪০টি দেশ দিবসটি উদযাপন করে। সে সূত্রে এবং ধারাবাহিকতায় প্রতি বছর অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার বিশ্বের সকল দেশে শিশু অধিকার সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করার প্রয়াসে বিশ্ব শিশু দিবস পালন করা হয়।

 

 

আন্তঃ জেলা সাংস্কৃতিক বিনিময়

আন্তঃ জেলা সাংস্কৃতিক বিনিময় বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর একটি নতুন কার্যক্রম। সংস্কৃতি হলো মানুষের জীবন চর্চা ও চর্যার প্রতিকল্প । এই জীবন চর্চার দৃশ্যমানতা প্রতিফলিত  হতে পারে প্রয়োগশিল্প অর্থাৎ সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে। দেশ-কাল-স্থান-পাত্রভেদে মানুষের মধ্যে সাংস্কৃতিক সা^াতন্ত্র্য বিদ্যমান। ‘দিবে আর নিবে, মিলাবে মিলিবে, যাবে না ফিরে ........।’ -বিশ্বকবির এই অমিয় বাণীই যেন আন্তঃজেলা সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মূল উপজীব্য। সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে ভাব এবং ভাবনার, আচার এবং অনুষ্ঠানের বিনিময় ঘটে। পারস্পারিক মেলবন্ধন তৈরী হয়। উভয় অঞ্চলের সংস্কৃতির প্রতি স্বচ্ছ ধারণা, পারস্পারিক আস্থা ও মর্যাদার জন্ম  দেয়।

 

পুস্তক প্রদর্শনী

বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর নিজস্ব প্রকাশনা বিভাগ রয়েছে। এখান থেকে প্রতিবছর অসংখ্য মানসম্মত শিশুতোষ বই-পুস্তক প্রকাশিত হচ্ছে। প্রকাশিত বইপুস্তক নিয়মিত প্রদর্শন করা হয়। এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর প্রকাশনা সম্পর্কে জনপ্রচার এবং অবহিতিকরণ ঘটে, বই কেনা এবং পড়ার প্রতি আগ্রহী করে তোলা হয়, পাঠক সৃষ্টি করা হয় ও শিশুতোষ বই -এর প্রতি সকলের আগ্রহ তৈরী করা হয়।

 

শিশু পত্রিকা, পুস্তক, জ্ঞানকোষ প্রকাশনা ও বিক্রয়

শিশু পত্রিকা, পুস্তক, জ্ঞানকোষ প্রকাশনা একাডেমীর একটি উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম। বাংলাদেশ শিশু একাডেমী শিশুদের জন্য ‌‍'শিশু' নামে নিয়মিত একটি সচিত্র মাসিক পত্রিকা প্রকাশ করে থাকে।

 

বাংলাদেশের বিশিষ্ট লেখকদের রচনা ছাড়াও শিশুদের রচনা এই পত্রিকায় প্রকাশ করাশ করা হয়। এছাড়া বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর বিভিন্ন জেলা শাখার কার্যক্রমের সচিত্র খবর এই পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়ে থাকে।

 

বাংলাদেশ শিশু একাডেমী শিশুদের জন্য ছড়া-কবিতা, গল্প-উপন্যাস, নাটক, জীবনী, ইতহাস, ঐতিহ্য, বিজ্ঞানসহ বিভিন্ন বিষয়ে পুস্তক প্রকাশ করে থাকে। একাডেমী এযাবৎ ৫০১টি পুস্তক ও ৫ খন্ডে একটি পূর্ণাঙ্গ 'শিশু-বিশ্বকোষ' প্রকাশ করেছে। 'শিশু-বিশ্বকোষ'ই বাংলাদেশে ছোটদের জন্য প্রকাশিত প্রথম বিশ্বকোষ। 'ছোটদের বিজ্ঞানকোষ' ও 'ছোটদের বাংলাদেশ-কোষ' নামে দুটি বৃহৎ কোষগ্রন্থ প্রকাশ করেছে। এছাড়া জাতীয় গ্রন্থবর্ষ ২০০২ উপলক্ষে শত প্রন্থমালা প্রকাশ করেছে। একাডেমীর প্রকাশিত পত্রিকা ও যাবতীয় প্রন্থ এজেন্ট, কেন্দ্রীয় অফিস ও বিভিন্ন জেলা শাখার মাধ্যমে বিক্রয় করা হয়। স্বল্পমূল্য ও আকর্ষণীয় প্রকাশনামানের জন্য দেশে শিশু একাডেমীর বইয়ের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। মর্যাদাপূর্ণ প্রকাশনার জন্য বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর বিভিন্ন বই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেছে। কমমূল্যে সকল ধরনের শিশুতোষ বই এখানে কিনতে পাওয়া যায়।